অতিরিক্ত গতিই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ, স্পীড ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব

 

অতিরিক্ত গতিই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ, স্পীড ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব তদন্ত কমিটির

বিশেষ প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে। তারা জানিয়েছেন-অতিরিক্ত গতির কারণে অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গাড়িটির একটি চাকা ফেটে গেলে সেটি উড়াল সড়কের রেলিংয়ে আছড়ে পরে এবং আগুন লেগে যায়। ফলে গাড়িতে থাকা ৮ জনেরই মৃত্যু হয়।

এছাড়া সুপারিশ হিসেবে তারা সড়কে স্পীড ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব করেন।

২৬ জুন সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার সাংবাদিকদের প্রতিবেদন ও সুপারিশ সম্পর্কিত এসব তথ্য প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, এ দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত গতিকেই প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই সড়কজুড়ে স্পিড ক্যামেরা বসানোর সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে ফরিদপুর ভাঙ্গার মালিগ্রাম উড়াল সড়কে অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকেলে জেলা প্রশাসক ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বিপুল চন্দ্র দাসকে। অন্য সদস্যরা হলেন, জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ওরফে শাকিল, হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মারুফ হাসান, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. এমরান খান, ফরিদপুর দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান। এই কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে তদন্ত শেষে আজ সোমবার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসকের হাতে প্রতিবেদন তুলে দেন।