ফরিদপুরে জালিয়াতি মামলায় আসামী সাব-রেজিষ্টারসহ ৯ জন
ফরিদপুরে জালিয়াতি মামলায় আসামী সাব-রেজিষ্টারসহ ৯ জন
ডেস্ক রিপোর্ট
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জালিয়াতি করে জমি দলিলের অভিযোগে তনু রায় (৩৮) নামে সাবেক সাব-রেজিস্টার সহ ৯ জনের নামে আদালতে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ওই সাব রেজিষ্টার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা সাব-রেজিষ্টার হিসেবে কর্মরত আছেন।
আজ বুধবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের ফরিদপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয় সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে গত সোমবার (২১ অক্টোবর) ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি করেন দুদকের ফরিদপুর কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান।
মামলায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার টিকরপাড় গ্রামের মৃত আবুল হাসানের স্ত্রী শুকরন নেছা ও তাঁর তিন মেয়ে নুরজাহান বেগম (৫২), হাসি বেগম ও রাশিদা বেগমকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়া রাশিদা বেগমের স্বামী নুর ইসলাম (৪৮), নওড়া গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়া (৪৫), দলিল শনাক্তকারী কামারগ্রামের আলী হায়দার (৫৫) ও দলিল লেখক আলী হায়দার (৫৫)কে আসামী করা হয়েছে। এছাড়া মোক্তার হোসেন নামে অপর এক দাতাকে অভিযুক্ত করা হলেও তিনি মৃত্যুবরণ করায় মামলায় আসামী থেকে বাদ দেয়া হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার মাধ্যমে পান্নু বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি ও তাঁর চার ভাইয়ের নামে থাকা বিলজোয়ারিয়া টিকরপাড় মৌজার সাবেক ২২২ হাল ৩৭৭ নং খতিয়ানের ৬১ দাগে ৩৯ শতাংশ জমি, ১৫২নং দাগে ৩৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৩২.৫৮০ শতাংশ জমি এবং ১৫৩ নং দাগে ৩ শতাংশ জমির মধ্যে ২.৭১৫ শতাংশ জমি পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত জমি দেখিয়ে জাল জালিয়াতি করে বিআরএস পর্চা তৈরি করে। পরবর্তীতে দলিল গ্রহিতা আপন বোন ও কন্যা রাশিদা বেগমের নিকট হস্তান্তর করে। তাতে সাব-রেজিষ্টার তনু রায় অন্যান্য আসামীদের সাথে যোগসাজশে দাখিলকৃত জাল পর্চার ভিত্তিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলিল নিবন্ধন করে।https://www.profitablecpmrate.com/pdi063hwz?key=0299aef94c4809d41c7b37ad6a5dbe45
এজাহারে দুদক আরও উল্লেখ করেন- দলিলের দাখিলকৃত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, উক্ত জমির দাতাগণের মালিকানা প্রমাণের জন্য আবুল হাসানের নিকট হতে পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত হয়ে দাতাগণের নামে প্রকাশিত বিআরএস পর্চা দাখিল করা হয়। তবে অনুসন্ধানকালে দাখিলকৃত বিআরএস পর্চার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে মামলায় উল্লেখ করে দুদক।
মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করে জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রতন কুমার দাস বলেন, 'জাল পর্চা তৈরি করে জমি দলিল করায় আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।
'
তবে সাব রেজিষ্টার তনু রায় জালিয়াতি করেননি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, তৎকালীন সময়ে ওই জমির পর্চা জাল হলেও তা প্রমাণ করা যায়নি। কারন বিআরএস গেজেট ছিলনা। এখানে জালিয়াতি করলে জমি দাতা ও গ্রহিতারা করেছে, আমার কোনো দোষ নেই।
Tag:
No comments: