চাঞ্চল্যকর মান্নান হত্যা মামলার প্রধান হত্যাকারী সোহেল গ্রেফতার

চাঞ্চল্যকর মান্নান হত্যা মামলার প্রধান হত্যাকারী সোহেল গ্রেফতার

জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর

ফরিদপুর জেলার সদরপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর মান্নান হত্যার ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত অন্যতম প্রধান হত্যাকারী সোহেল কে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

এক প্রেস ব্রিফিং এ র‌্যাব জানায়, ০৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং র‌্যাব-১ এর সহযোগীতায় গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।  উক্ত অভিযানে ফরিদপুর জেলার সদরপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর মান্নান হত্যার ঘটনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত অন্যতম প্রধান হত্যাকারী পলাতক আসামি মোঃ সোহেল মল্লিক (৩০) কে গ্রেফতার করে। সোহেল মল্লিক জেলার সদরপুর উপজেলার চর ডুবাইল গ্রামের দিলো মল্লিকের ছেলে।

র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার জানান,  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে  গত ২২ মে ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোহেল মল্লিক ও তার অন্যান্য সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে মান্নান বেপারী (৫০) কে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের পূর্বপরিকল্পিত ঘটনাস্থল ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানাধীন রাজারচর ওয়াজ এলাকার একটি রাস্তার পাশে ওৎ পেতে থাকে। মান্নান বেপারী সদরপুর উপজেলার রাজার চর, ওয়াজ হাওলাদার ডাঙ্গী গ্রামের মৃত করম বেপারীর ছেলে।

পরবর্তীতে মান্নান পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা স্থানে পৌঁছলে সোহেল মল্লিক ও অন্যান্য আসামিরা মান্নানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় মান্নানকে সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সংক্রান্তে মান্নান এর ভাই মোঃ রজ্জব আলী বেপারী (৪৫) ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানায় গ্রেফতারকৃত আসামি সোহেল মল্লিকসহ ১১ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৪(০৫)২৩, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৪/৩২৬/৩৬০/৩৭৯/১১৪ দন্ডবিধি।

অতঃপর মান্নানকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান অবস্থার অবনতি ঘটলে মান্নানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে ১১ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মান্নান মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় উল্লেখিত মামলাটি পেনাল কোড ১৪৩/ ৩৪১/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩৬০/ ৩৭৯/১১৪/৩০২ ধারা মুলে একটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকল আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী হত্যার ঘটনার সাথে তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।