প্রতিদিনের জীবন

প্রতিদিনের জীবন
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে করণীয়

ইসলামী জীবন

» »Unlabelled » চাহিদামত টাকা না পেলেই মাদক মামলা, এমনই অভিযোগ ডিবি এস আই জব্বারের বিরুদ্ধে

চাহিদামত টাকা না পেলেই মাদক মামলা, এমনই অভিযোগ ডিবি এস আই জব্বারের বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার

মোটা অংকের উৎকোচ না পেলেই বিভিন্নভাবে নিরপরাধ ব্যাক্তিদের মাদক মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফরিদপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এস আই) আঃ জব্বার এর বিরুদ্ধে। তার এই মামলা বানিজ্যে দিশেহারা এলাকাবাসী।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন করম খালাশী নামের এক ভুক্তভোগী।

তিনি ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল (শিমুলবাজার) এলাকার বাসীন্দা মৃত ছত্তার খালাশীর ছেলে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ আঃ জব্বার, সাবেক এমপি ক্যাডার স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহলের যোগসাজশে করম আলী খালাশীকে একাধিক মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

করম খালাশী জানান, গত নভেম্বর এস আই জব্বার ফোর্স নিয়ে হঠাৎ আরে আমার দোকান বাড়িতে তল্লাশী চালায়। কোন কিছু না পেয়ে আমার কাছে দুই লক্ষ টাকা দাবী করে। টাকা না দিতে পারায় আমাকে আটক করে নিয়ে যায়, আটকের কারণ জানতে চাইলে কোন কিছু না বলে  জেলে পাঠায়। জেলে থাকা অবস্থায় জানতে পারি আমাকে মাদক মামলায় আটক করা হইছে।   এভাবে একে একে টি মাদক মামলা দেয় আমার বিরুদ্ধে। এখনও আমার কাছে টাকা চায়, না দিতে চাইলে মামলার হুমকি দেয়।

তিনি জানান, আমি গরীব মানুষ, পৈত্রিকভাবে যে জমি পাইছি তাতে কয়েকটি দোকান তুলে ভাড়া দিছি আর নিজে চায়ের দোকান করে সংসার চালাই। এস আই জব্বার আমার যে অবস্থা করছে তাতে আমার সংসার চালানোরমত অবস্থা নাই। মাঝে মাঝে ভাবি আত্মহত্যা করি। কিন্তু পরিবারের কথা চিন্তা করে পারিনা। প্রতি মাসে ৫টা মামলায় হাজিরা দিতে হয়। আমি সংসার চালাবো না মামলা চালাবো। আমি যদি অপরাধী হইতাম তাহলে মানতাম। বিনা অপরাধে কয়েকমাস যাবৎ আমাকে হয়রানি করতেছে। আমি জব্বারের এই জুলুম থেকে মুক্তি চাই।

সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, করম খালাশী একজন সাদাসিদা মানুষ। সে নিরিবিলি ব্যবসা করে জীবন যাপন করে। তার বিরুদ্ধে যে মামলা দিছে তা সঠিক না। শুধু তাকেই হয়রানি করে নাই, এই এলাকার আরও অনেককেই এরকম হয়রানি করছে। আপনারা খোঁজ নেন জানতে পারবেন। ওই পুলিশ আসে, বিভিন্ন দোকান, বাড়িঘর তল্লাশি করে আর টাকা চায়, যে দিতে পারে সে পার পায় আর যে না পারে সেই মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে জেলে যায়। তার এই জুলুম থেকে আমাদের বাঁচান। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করি আমাদের বাঁচান।

বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, যেহেতু মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তাই সেখান থেকে পদক্ষেপ নিতে বলা হলে আমরা অবশ্যই নিবো। আমরা তদন্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

 

«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply