ফরিদপুরে বিএনপি ও আ’লীগ নেতা মিলে বিধবা নারীর জমি দখলের অভিযোগ
ফরিদপুরে বিএনপি ও আ’লীগ নেতা মিলে বিধবা নারীর জমি দখলের অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্ট
ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রামকান্তপুর গ্রামে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে আওয়ামীলীগের দুই নেতা ও সেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা মিলে মিশে এক বিধবা নারীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ওই তিন প্রভাবশালী দীর্ঘদিন সদরে অম্বিকাপুর ইউনিয়নে জমির ব্যবসার নামে এলাকায় নিরহ মানুষদের উপর নানা কৌশলে অত্যাচার করে আসছে। রয়েছে বিভিন্ন মানুষের জমি দখলেরও অভিযোগ।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ওই জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মানের কাজ শুরু করে তারা। পরে খবর পেয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মানকাজ বন্ধ করে দেয়। এ
ঘটনায়
অম্বিকাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল মোল্লা, আওয়ামী লীগ
নেতা
তুহিন মিয়া ও মহানগর সেচ্ছাসেবক দল নেতা ইয়াকুব শেখের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই বিধবা নারী।
জানা যায়, সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা বিধবা নারী কহিনুর বেগমের পৈত্রিক সম্পত্তি কিছুদিন আগে জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে স্থানীয় প্রভাবশালী রবিউল মোল্যা, তুহিন মিয়া, ইয়াকুব শেখ ও তার লোকজন। পরে কহিনুর বেগম আদালতের শরনাপন্ন হলে আদালত ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে। শুক্রবার সকালে ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে পাকা ঘর নির্মানের কাজ শুরু করেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়।
বিধবা নারী কহিনুর বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পারিবারিক ৫০ শতাংশ জমি নিয়ে আমার চাচার সাথে দীর্ঘ দিন
যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। ওই জমি
এখনও
পারিবারিক ভাবে ভাগবাটাওয়ারার কিছু হয়নি। যা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। কিন্তু ওই তিন ভূমিদস্যু জোড় করে আমাদের জমি দখল করার পায়তারা করছে। তারা এখানে তৃতীয় পক্ষ হয়ে আমাদের পরিবারে ঢুকে দ্বন্দ্ব বড় করে তুলছে। শুধু আমাদের পরিবার না তাদের দ্বারা এই এলাকার বহুমানুষ নির্যাতনের শিকার। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেনা। আমি জমির কাছে গেলেই আমাকে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে আমার বৃদ্ধ মাকে তারা মারপিট করে।
ক্রয়কৃত জায়গায় ঘর নির্মান করছেন দাবী করে ইয়াকুব শেখ বলেন, কহিনুর বেগমের চাচার সম্পতি আমরা কিনে নিয়েছি। সেখানেই আমি ঘর নির্মান করছি। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কেন নির্মান কাজ করছেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করেছিল সঠিক। আদালত সেটি খারিজ করে দিয়েছে। পুনরায় তারা আপিল করেছে, আমাকে হয়রানি করার জন্য।https://www.profitablecpmrate.com/pdi063hwz?key=0299aef94c4809d41c7b37ad6a5dbe45
অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল আলম বলেন, এই জমি নিয়ে এক বছর আগে আমি শালিস করেছিলাম, কিন্তু তাতে কোনো সমাধান হয়নি। পরে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। আজকের ঘটনা শুনেছি, আমি এলাকার বাইরে থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আসাদউজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। নির্মানকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে দুই পক্ষকে ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Tag:
No comments: