বাখুন্ডা বাজারে ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ গ্রেফতার আরো ৫
বাখুন্ডা
বাজারে ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ গ্রেফতার আরো ৫
ফরিদপুর
সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের
বাখুন্ডা বাজারের নৈশ প্রহরীদের বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনায় লুট করা মালামালসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার
করেছে পুলিশ। গত ৯ জুলাই
ডাকাত দলের এক সদস্যকে যশোরের
বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দিবাগত
রাতে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১২ জুলাই
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।
তিনি বলেন, গত রবিবার যশোরের বেনাপোল থেকে প্রথমে কাজল দেবনাথকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন তাকে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হলে সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয় কাজল। পরে
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে
ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে উজ্জ্বল দাস (৩৮) এবং মুন্সিগঞ্জের শ্রীপুর থেকে শহিদ ওরফে
আবুল, আনোয়ার হোসেন ও এমারত শেখ, সাইদুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন,
এই দলে ৩০ জনের বেশী সদস্য রয়েছে। তার মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার
করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা
হলেন শরীয়তপুরের
পালং থানার চরগাজীপুর এলাকার কাজল দেবনাথ (৪৭), একই জেলার গোসাইরহাট থানার রানীসার এলাকার শহিদ ওরফে আবুল (৩৮), ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন ওরফে ফজো বেপারী (৭০), মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার দক্ষিণ হলদিয়া এলাকার এমারত হোসেন (৪০), কুড়িগ্রামের খাউরার পাড় এলাকার সাইদুল সরকার (২৭) ও ঢাকার দোহার
থানার মেঘুলা এলাকার উজ্জ্বল দাস (৩৮)।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে এমারত শেখ ও সাইদুলের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও উজ্জ্বল দাসের কাছ থেকে লুণ্ঠিত অলংকারের মধ্যে ৮ আনা ওজনের গালানো স্বর্ণের বার এবং ২০ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তাররা ফরিদপুর শহরের বাখুন্ডা বাজারে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।
ফরিদপুরের
কোতয়ালি থানার এসআই জব্বার ও কনস্টেবল হিমেল
এ অভিযানে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ
ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম,এ জলিলসহ
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এর
আগে গত ৩ জুলাই
দিবাগত রাতে রাজধানীর শ্যামপুর, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামলী, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ ও মাদারীপুর এলাকায়
র্যাব ও পুলিশ মিলে
যৌথ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত
থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার
করে।
Tag:
No comments: