টাকা ছাড়া মিলেনা আজিমনগর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সেবা
টাকা ছাড়া মিলেনা আজিমনগর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সেবা
ডেস্ক রিপোর্ট
ফরিরপুরের
ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি যেন
ঘুষ বাণিজ্যের এক অনলাইন-অফলাইন
কেন্দ্র। টাকা ছাড়া মিলেনা
কোন সেবা। টাকা না দিলে
ঘুরতে হয় দিনের পর
দিন। অভিযোগের কেন্দ্রে আছেন ভূমি অফিসের
পিয়ন মিরাজ, যিনি স্থানীয়ভাবে ‘পিয়ন
মিরাজ নামেই পরিচিত। সে এত দাপট
কিভাবে দেখায়? গ্রামবাসীর প্রশ্ন?
পিয়নের
হাতে অফিস ‘জিম্মি’ খাজনা দাখিল, নামজারি কিংবা পর্চা উত্তোলন— প্রতিটি কাজেই পিয়ন মিরাজ নির্দিষ্ট
অঙ্কের টাকা দাবি করেন।
টাকা না দিলে কাগজপত্র
ফেলেও দেয় বলে জানিয়েছেন
গ্রামবাসীরা। তার এসব কাজে
সহযোগীতা করেন ইউনিয়ন ভুমি
সহকারি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম।
আজিমনগর
গ্রামের আতাউর রহমান খান জানান, আমার
ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য জমি বিক্রির
সময় নামজারি করতে ১৩ হাজার
টাকা দিয়েও ঘুরতে হইছে। টাকার খুব দরকার ছিলো
তাই দিছি। অফিসের জমি আমরা দিছি
তারপরও আমরা ছাড় পাইনা,
বুঝেন অন্যদের অবস্থা। টাকা ছাড়া এই
ভুমি অফিসে কোন কাজ হয়
না। সাথে হয়রানিতো আছেই।
পিয়ন মিরাজ আর তহশিলদার আকলিমা
মিলে মিশে এ কাজ
করে।
স্থানীয়
এক পল্লী চিকিৎসক অভিযোগ করেন, এই ভুমি অফিসে
যে কোন কাজের জন্য
পিয়ন মিরাজের দারস্থ হতে হবে, তা
না হলে কাজ হবে
না। “কাজ শুরুর আগেই
টাকা দিতে হয়, পরে
নানা অজুহাতও দেখায়।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ইতিপুর্বে
পিয়ন মিরাজ এক তহশিলদারের গায়ে
হাতও তুলেছিলো। টাকা ভাগাভাগি নিয়ে
মাঝে মাঝেই তহশিলদার আর পিয়ন মিরাজের
সাথে তর্ক বিতর্ক হয়।
এই মিরাজ এসব কারনে আগে
একবার বরখাস্ত হইছিলো, এখান থেকে অন্য
অফিসেও বদলি করছিলো। কয়দিন
পরেই আবার এই অফিসে
ফিরে আসছে। কিভাবে সম্ভব? আমরা বুঝিনা। মিরাজের
বিরুদ্ধে ডিসি অফিসেও অভিযোগ
দিছি।
এ
বিষয়ে ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা
আকলিমা বেগম ও পিয়ন
মিরাজ কোন মন্তব্য করতে
রাজি হননি।
আজিমনগর
ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আতাউর রহমান ছব্বার জানান, তহশিলদার আর পিয়ন মিরাজের
অনিয়মে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা এলাকাবাসী
ডিসি স্যারের কাছে তাদের বদলী
করার জন্য আবেদন করছি।
এ
বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, আমি তাদেরকে ডাকবো।
বিস্তারিত জেনে তাদেরকে নিয়ন্ত্রনে
আনতে চেষ্টা করবো।
Tag:
No comments: