প্রধান সংবাদ

Theme images by kelvinjay. Powered by Blogger.

পুলিশের বাড়িতে ডাকাতি, ডাকাত আতঙ্ক উপজেলা জুরে

পুলিশের বাড়িতে ডাকাতি, ডাকাত আতঙ্ক উপজেলা জুরে, উদাসীন পুলিশ ভাঙ্গা প্রতিনিধি ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সম্প্রতি ফাঁকাবাড়িতে কেয়ারটেকারকে নৃশংসভাবে ...

প্রতিদিনের জীবন

প্রতিদিনের জীবন
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে করণীয়

ইসলামী জীবন

» »Unlabelled » ফরিদপুরে পলো বাওয়া উৎসবে মানুষের ঢল

ফরিদপুরে পলো বাওয়া উৎসবে মানুষের ঢল

ডেস্ক রিপোর্ট

মাছ ধরার পলো উৎসব গ্রামবাংলার একটি বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য। আগে এই উৎসব সচরাচর দেখা গেলেও বর্তমানে তা খুব একটা দেখা যায় না। শুক্রবার ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরবিষ্ণুপুর এলাকার কাইজ্যার কোল বিলে মাছ ধরার উৎসবের আয়োজন করা হয়। হাজারো মানুষের ঢল নামে উৎসবটিতে।

সকাল ৭টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই উৎসব। হাটু পানি থেকে কোমর সমান পানিতে শত শত মানুষ মাছ ধরতে নামে। সূর্য ওঠার পূর্বেই হাজারো মানুষের আসতে থাকে কাইজ্যার কোল বিল এলাকায়। কারো হাতে পলো, কারো হাতে জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ। দূর-দূরান্ত থেকে পলো হাতে নিয়ে পায়ে হেঁটে আনন্দ-ফূর্তি করতে করতে মাছ ধরার উৎসবে আসে নানা বয়সী মানুষ। উৎসবে কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও অংশ নেয়।https://www.profitablecpmrate.com/pdi063hwz?key=0299aef94c4809d41c7b37ad6a5dbe45

জেলার সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন থেকে আগত মোহাম্মদ রতন শেখ বলেন, গতকাল মাইকিং করার পর সন্ধ্যায় দেড়শ টাকা দিয়ে একটি পলো কিনে আজ ২০ কিলোমিটার দূর থেকে এখানে মাছ ধরতে আসি। ধরনের হারিয়ে যাওয়া উৎসব দেখতে এসে খুব ভালো লাগে। আমাদের এলাকায় বিভিন্ন প্রজেক্ট হয়ে যাওয়ার কারণে খাল-বিল ভরাট হয়ে গেছে। মাছ ধরার উৎসবে যোগ দিতে এখানে এসেছি।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরু মোল্লা বলেন, এই বিলটাকে আমরা কোল বলে থাকি। বহু আগে এখান থেকে আমরা মাছ ধরতাম। মাঝে কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তি পুলিশ নিয়ে এসে আমাদের বাধা দিতো। এই নিয়ে অনেক কাইজ্যা হইতো। মাছ ধরা নিয়া এসব মারামারি বা কাইজ্যার কারণে এই বিলের নাম কাইজ্যার বিল নামে পরিচিতি পায়। আমি ঢাকায় থাকি। দীর্ঘদিন পরে বাড়ি আসছি। আজ পলো নিয়ে এখানে মাছ ধরতে আসছি। খুব ভালো লাগতেছে।

প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা দেশি প্রজাতিসহ বিভিন্ন প্রকারের মাছ আছে বিলটিতে। রুই, কাতল, বোয়াল, টেংরা, পুটি, কইসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ এখানে পাওয়া যায়। তাই মাছ ধরায় আগ্রহীরা জড়ো হয় এখানে। তবে বিলে প্রচুর কচুরিপানা ঘাসপাতা থাকায় মাছ ধরতে বেগ পেতে হয় তাদের।

৮০ বছরের বেশি বয়সী জামাল উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই মাছ ধরার উৎসব আয়োজন করা হয়। গত দুদিন ধরে পলো উৎসবের মাইকিং করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া এমন উৎসবে যোগ দিয়েছে হাজারো মানুষ। এই বিলে চায়না, দোয়ারি, কারেন্ট জাল, ভেসাল দিয়ে মাছ ধরা হতো। প্রশাসন এটা বন্ধ করায়, আমরা এই উৎসবের আয়োজন করেছি। হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এই আয়োজন। প্রতিবছর যাতে ধরনের আয়োজন করতে পারি, সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

অপর আয়োজক মোহাম্মদ তুহিন মিয়া বলেন, সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে গ্রামবাংলার হারানো ঐতিহ্য পলো উৎসব প্রতিবছর আয়োজনের চেষ্টা করব।  

«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply