চেক প্রতারণার দায়ে আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
চেক প্রতারণার দায়ে আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা
অভিনব প্রতারণা, জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ এবং চেক দিয়ে প্রতারণার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গোপালগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু চৌধুরী বাদীর নিকট হইতে ৭৭,৮০,০০০/-(সাতাত্তর লক্ষ আশি হাজার) টাকা নিয়েছিলেন। সেমতে আসামী বাদীকে টাকা ফেরত দিতে কাল ক্ষেপন করে আসছিলেন। অবশেষে বাদীকে নগদ টাকা প্রদান না করে আসামীর নিজ নামের ডাচ্ বাংলা ব্যাংক পল্লবী মিরপুর, ঢাকা শাখার হিসাব নম্বর ২১১১৫১১৬৯৯৩৮ চেক নং ০৩৪৩৩৭০। চেকে ৭৭,৮০,০০০ (সাতাত্তর লক্ষ আশি হাজার) টাকা ২০২৩ সালের ০৭ সেপ্টেম্বর আবু চৌধুরী তাহার নিজ নাম স্বাক্ষর করে এবং চেকে উল্লেখিত টাকার পরিমান লিখে বাদী বরাবর চেকটি প্রদান করেন।
বাদী টাকা উত্তোলনের জন্য আসামীর দেওয়া চেকটি একই তারিখে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ গোপালগঞ্জ সদর শাখায় নগদায়নের জন্য জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপর্যাপ্ত তহবিলের কারনে চেকটি ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ডিজঅনার করে ফেরৎ প্রদান করেন।https://www.profitablecpmrate.com/pdi063hwz?key=0299aef94c4809d41c7b37ad6a5dbe45
বাদী তার নিয়োজিত আইনজীবির মাধ্যমে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তী স্বীকার পত্রসহ রেজিস্ট্রী ডাকযোগে আসামী বরাবর লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন এবং উক্ত লিগ্যাল নোটিশ আসামীর দেওয়া চেকে আসামীর হিসাব নম্বরে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপর্যাপ্ত তহবিলের কারনে চেকটি ডিজঅনার করে বাদীকে ফেরৎ দিয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন এবং উক্ত লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ০১ (এক) মাসের মধ্যে বাদীর পাওনা সমূদয় টাকা বাদীকে পরিশোধ করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু আসামী বাদীর পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী তার আইনজীবির মাধ্যমে আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারীর আবেদন করেন এবং চেক প্রতারণার অভিযোগে গোপালগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী কবির হোসেন মোল্লা জানান, আবু চৌধুরীর সাথে তার দীর্ঘ দিনের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আবু চৌধুরীকে তিনি ৭৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেন । সময় মতো টাকা ফেরত না দিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ এর পায়তারা করে আসছিলেন। পরবর্তীতে সে টাকা ফেরত দেবে মর্মে পাওনা টাকার বিপরীতে চেক ইস্যু করেন।
চেক ইস্যু করার পর নগদায়নের জন্য জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপর্যাপ্ত তহবিলের কারনে চেকটি ডিজঅনার করে ফেরৎ দেন। আপোষে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আমি গোপালগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা নং ১৬৬৩-২৩। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আমি অমার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে আদালতের স্বরণাপন্ন হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ ন্যায় বিচারের মাধ্যমে আমার টাকা ফেরত পাব।
এ বিষয়ে আবু চৌধুরীর বক্তব্য
নিতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য
নেয়া সম্ভব হয়নি।
Tag:
No comments: