রাজবাড়ীতে শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী লিটন গ্রেফতার
রাজবাড়ীতে শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী লিটন গ্রেফতার
জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর
রাজবাড়ীর
জেলার সদর থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নাবালিকা শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী লিটন কে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা
হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
এক প্রেস
ব্রিফিং এ র্যাব জানায়, ১৪ অক্টোবর
শনিবার বিকেলে র্যাব-১০ এর একটি
আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের
ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে রাজবাড়ী সদর থানা এলাকার ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নাবালিকা
শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী লিটন উদ্দিন কে গ্রেফতার করা হয়। যার
মামলা নং- ০৩,
তারিখ- ০২/১০/২০২৩
ধারা-
নারী ও শিশুনির্যাতন দমন
আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০/৯(১)।
গ্রেফতারকৃত আসামী রাজবাড়ী সদরের রামকান্তপুর তালুকদার পাড়ার মৃত হাফিজউদ্দিনের পুত্র।
প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী স্কুলে যাওয়া-আসার সময় আসামি লিটন প্রায়ই ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কু-প্রস্তাব দিতো।
ভিকটিম লিটনের কু-প্রস্তাবে কোনো
সাড়া না দিয়ে ঘটনাটি
তার বাবাকে জানালে ভিকটিমের বাবা আসামি লিটনকে বলে যে, সে যেন ভিকটিমকে
কখনো উত্যক্ত না করে। তা না হলে তারা
আইনের আশ্রয়নিতে বাধ্য হব।
অতঃপর
আসামি লিটন শিশুটির বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর
আনুমানিক সকাল ১০:৩০ ঘটিকায়
ভিকটিম বাড়ীহতে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে রাস্তায় পৌছা মাত্র আসামি লিটন ও অজ্ঞাতনামা আরও
দুই (০২) জন আসামির সহযোগীতায়
ভিকটিমকে জোরপূর্বক
একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি লিটন রাজধানী ঢাকায় তার ভাড়া করা অজ্ঞাতনামা একটি বাসায় ভিকটিমকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
পরবর্তিীতে
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ভিকটিম
কৌশলে আসামি লিটনের হাত থেকে পালিয়ে এসে তার বাবা মাকে ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে খুলে বলে। উক্ত ঘটনার পর ভিকটিমের বাবা
তার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে পরামর্শ করতঃ বাদী হয়ে ধর্ষক লিটন ও তার অপর
দুই সহযোগীসহ তিন (০৩) জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি অপহরণ করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে লিটনসহ অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাব জানিয়েছে
গ্রেফতারকৃত আসামীকে
সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Tag:
No comments: