অর্থপাচার মামলায় ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিক কারাগারে
অর্থপাচার মামলায় ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিক কারাগারে
জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর
অর্থপাচার
মামলায় ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড
ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
৩০ আগষ্ট
বুধবার দুপুরে
জেলা ও দায়রা জজ
মো. আকবর আলী এ আদেশ দেন
বলে জানান সিদ্দিকুরের আইনজীবী বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলী। এ মামলায় হাই
কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন আসামি। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি আদালতে হাজির হয়ে আবারও জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে
দেয়।
গত
৯ অগাস্ট সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান আসামি করে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ৫২ লাখ ৭৬
হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন ফরিদপুর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের-সিআইডি পরিদর্শক নাসিরউদ্দিন। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (ওসি) এমএ জলিল বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়।
অন্য
আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন ওরফে বাবর, শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই
ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল এবং এএইচএম ফোয়াদ।
সিদ্দিকুর
রহমান ছাড়া অপর চারজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৬ জুন ঢাকার
কাফরুল থানায় সিআইডির দায়ের করার দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় আসামিরা আগে থেকেই কারাগারে আছেন।
আইনজীবী
বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলী জানান, গত ৯ অগাস্ট
অর্থ পাচারের অভিযোগে ফরিদপুরে মামলা হওয়ার পর সিদ্দিকুর গত
১৩ অগাস্ট হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে চার সপ্তাহের অন্তবর্তী জামিন পান। ওই সময়ের মধ্যে
তাকে জেলা ও দায়রা জজ
আদালতে হাজির হওয়ার নিদের্শ দিয়েছিল আদালত।
হাই
কোর্টের বেঁধে দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার আগেই সিদ্দিকুর রহমান বুধবার (৩০ অগাস্ট) আদালতে
হাজির হয়ে আবার জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে
তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
অপরদিকে,
বরকত-রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে
ঢাকার কাফরুল থানায় হওয়া দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মেট্রোপলিটান আদালতে সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রে সিদ্দিকুর রহমানের নাম ছিল না। তবে পরে নতুন করে যে ৩৭ জনের
নামে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়, এর মধ্যে সিদ্দিকুরের
নাম আসে।
আগামী
২০ সেপ্টেম্বর এ সম্পূরক অভিযোগপত্র
নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
Tag:
No comments: