বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে
বঙ্গবন্ধুর
সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে-এ.কে. আজাদ
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ. কে. আজাদ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ক্ষুদা, দারিদ্রমুক্ত ও শোষনমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ২১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ.কে আজাদ আরো
বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন এক সোনার বাংলা
বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত
হবে এবং শিক্ষা পরবর্তী চকুরীর নিশ্চয়তা থাকবে। তিনি (বঙ্গবন্ধু) সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন
করে যেতে পারেন নি। উনার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী সামগ্রিক
ভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। আমাদের শিক্ষার হার পার্শবর্তী ভারতের থেকেও বেশি। বিশেষ করে নারী শিক্ষায় আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। প্রধানমন্ত্রীই প্রথম নারী শিক্ষাকে অগ্রসর করতে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা চালু করেছেন, প্রত্যেকটা প্রাইমারিতে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। বিনামূলে বই বিতরণ করছেন।
ফলে নারীরা আজ পুরুষদের থেকে
অনেক এগিয়ে। চাকরী, ব্যবসায় সব ক্ষেত্রে তাদের
আজ বিচরণ। আজ নারীরা ডিসি
হচ্ছে, এসপি হচ্ছে।
তিনি
বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংক এবং আমেরিকার সাথে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু আমাদের উপহার দিয়েছেন। আর নেত্রী বলেছেন
পদ্মার ওপারে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে যাতে করে পদ্মার এপারের লোককে আর চাকরীর জন্য
ঢাকায় যেতে না। আমরা তাকে কথা দিয়েছি ফরিদপুরে শিল্পকারখানা করবো। আমি ফরিদপুরে শিল্পকারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করেছি। যাতে করে ফরিদপুরের ছেলেমেয়েদের আর ঢাকায় গিয়ে
চাকরী করতে না হয়। ফরিদপুরের
কাউকেই আমি আর বেকার রাখবো
না।
যুব
মহিলা লীগের যুগ্ম আহবায়ক রাবেয়া আক্তার বৃষ্টির সঞ্চালনায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব হল দলকে সুসংগঠিত
রাখা, একত্রিত রাখা। তারা সে কাজ না
করে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। আপনারা দলের মধ্যে টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজদের ঠাই দিয়ে দলের প্রকৃত নেতাদের বঞ্চিত করছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপনারা অনেক নেতার নামই ব্যবহার করেন না। আসুন আমরা একত্রিত হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ের জন্য একত্রে কাজ করি। আমাদের বিশ্বাস আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে আপনারা সকলকে একত্রিক করে মাঠে কাজ করবেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগীতায় ছিল, জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য ইসরাত জাহান সূচনা, কহিনূর বেগম, কথা ইসলাম, তুবা ইসলাম, সাদিয়া ইসলাম।
আলোচনা
শেষে তিনি যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২১ পাউন্ডের কেক
কেটে নেতৃবৃন্দের মাঝে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। এর আগে সকালে
জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের
করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষীন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হয়।
Tag:
No comments: