প্রতিদিনের জীবন

প্রতিদিনের জীবন
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে করণীয়

ইসলামী জীবন

» »Unlabelled » ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার

ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার

জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর 

ফরিদপুরে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক রবিন মোল্যাকে (২৩) গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে নাঈম খান (৩১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাঈম খান জেলার সদরপুর উপজেলার মীরের ডাঙ্গী গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামীকে গ্রেফতার করেছে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানা পুলিশ। 

এই ঘটনায় ছিনতাই হওয়া অটোরিক্সাসহ অপর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম সেক সেলিম (৪২)। সেলিম জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার চর অমরাপুর গ্রামের সেক হালিমের ছেলে।

১৯ জুলাই বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেনে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলেনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম জানান, গত ১৫ জুলাই ফরিদপুরের সদর উপজেলার গজারিয়া পাটপাশা ব্রীজের নিকট মেহেগুনি বাগানের ভিতর থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া লাশটি সনাক্ত করা হলে এঘটনায় জেলার সদরপুর থানার হালিম চৌধুরীর ডাঙ্গী গ্রামের ইকলাছ মোল্যা বাদী হয়ে ছেলে হত্যার একটি অভিযোগ দায়ের করে।

পরে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে হত্যার অভিযোগে নাঈম খানকে জেলার চরভদ্রাসন থানার বিএস ডাঙ্গী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে একই রাতে নিহতের ব্যাটারিচালিত রিক্সাসহ অপর সেক সেলিম নামে আরেজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম জানান, নিহত অটোরিক্সা চালক রবিন ও লেগুনা চালক নাঈম পরস্পর পরিচিত। গত ১৫ জুলাই সকালে রবিনের রিক্সায় করে ফরিদপুর শহরের পতিতা পল্লীতে আসার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। শহরে ব্যাটারী চালিত রিক্সা পুলিশে ধরতে পারে সে কারণে রিক্সাটি কোথাও রেখে যাওয়ার কথা বলে। নিহত রবিনকে শহরে পাঠিয়ে দিয়ে কৌশলে রিক্সাটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়ে দু'জনে পতিতলয়ে যায়। সেখানে থেকে ফেরার পথে বরিন তার রিক্সার কথা জানতে চাইলে কৌশলে জেলা সদরের গজারিয়ার পাটপাশা ব্রীজের পাশে মেহেগুনী বাগানে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে নিহতের দুটি ফোন নিয়ে চলে যায়। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত নাইমকে রিক্সা ও মোবাইল সহ গ্রেপ্তার করে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম,এ জলিলসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সংবাদিকবৃন্দ।

এদিকে হত্যার অভিযোগে গেপ্তার নাইম ও ‍চোরাই রিক্সা ক্রয়কারী আসামী সেলিমকে দুপুরে ফরিদপুরের কোর্টে প্রেরণ করা হলে সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয় ওই দুই আসামি। তারা এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছে বলে জানান এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এস আই মো. মিজানুর রহমান।


«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply