ফরিদপুরে সহপাঠীদের সাহসীকতায় স্কুল ছাত্রী অপহরণ চেষ্টা ব্যার্থ
ফরিদপুরে
সহপাঠীদের সাহসীকতায় স্কুল
ছাত্রী অপহরণ চেষ্টা ব্যার্থ
জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর
ফরিদপুর
শরহতলীর কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন স্কুলের ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা ব্যার্থ করে দিয়েছে সহপাঠীরা। ১৬ অক্টোবর সোমবার সকাল ১০ টার দিকে
কয়েকজন যুবক একটি মাইক্রোবাসে কোমরপুর স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে
নেয়ার চেষ্টা করে। তখন সহপাঠী ও স্থানীয়রা মাইক্রোবাসকে
আটকানোর চেষ্টা করলে মাইক্রোবাসসহ পলায়নের চেষ্টা করে। এসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয়রা তিনজন
যুবককে আটক করে পুলিশে সর্পদ করে ও অন্যরা পালিয়ে
যায়। এবং ক্ষুব্ধ সহপাঠীরা ও স্থানীয়রা আটককৃত
গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক জানান, ছাত্রীর সাথে থাকা
তিনজন মেয়ে এবং একজন ছেলে ওই ছাত্রীকে এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে। এ সময় অপহরণকারীরা
অন্যশিক্ষার্থীদের পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখায়। তখন
স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে এবং ধরে তিনজনকে গণধোলাই দেয়। ঐ মুহুর্তে আমি
৯৯৯ কল দিলে প্রশাসনের
লোকজন চলে আসে। পরে পুলিশে দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ১৪-১৫ বছর যাবৎ এই স্কুলে কিন্তু কখনও এধরনের ঘটনা ঘটতে দেখিনি। আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে আগামীতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে।
ঘটনা
শুনে বিদ্যালয়ে ছুটে এসেছেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও ফরিদপুর পৌরসভার
সাবেক মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু। তিনি এ ঘটনার দুঃখ
প্রকাশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে নিয়মিত পুলিশ টহলের দাবি জানান। তিনি বলেন, আমরা আগামীকাল জরুরী সভা ডেকেছি। সে সভা থেকে
পরবর্তী ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নেয় হবে এবং আজ ওই ছাত্রীর
অভিভাবককে নিয়ে থানায় মামলা করতে যাবো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, একটি মাইক্রোবাস নিয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করে। এসময় সহপাঠীদের বাধার মুখে তারা ব্যার্থ হয়। এসময় মূল পরিকল্পনাকারী পালিয়ে যায়। স্থানীয় ও সহপাঠীরা তিন জনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এদের একজনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরে তারা অপহরণে ব্যাবহৃত মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। বাকি বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
Tag:
No comments: