হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ২৯ বছর পর গ্রেফতার
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ২৯ বছর পর গ্রেফতার
গোপালগঞ্জ
জেলা সদরের চা দোকানদার সেকেন্দার শেখ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী
মফিজুর রহমানকে দীর্ঘ ২৯ বছর পর গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১০,
সিপিসি-৩, ফরিদপুর।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ১৯৯৪ সালের ১৪ জানুয়ারি চা ব্যবসায়ী সেকেন্দার শেখ (৩০) প্রতিদিনের ন্যায় রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে সদরের কাঠি পশ্চিম পাড়া এলাকার কাঁচা রাস্তার পাশে আনুমানিক রাত ১০:০০ দিকে ৭/৮ জন লোককে ফাঁকা জমিতে বসে গাঁজা সেবন করতে দেখে তাদের বাঁধা দিলে মোঃ মিজান ওরফে শাহিনসহ তার অন্যান্য সহযোগী মিলে সেকান্দারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে সেকান্দারের বুকে, পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মৃত
সেকেন্দার শেখ এর ভাই এনায়েত
শেখ বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৮, তারিখ-১৪/০১/১৯৯৪, ধারা- ১০৯/৩০২/৩৪ দন্ড বিধি।
মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে হত্যাকান্ডে জড়িত সবাই আত্মগোপনে চলে যায়।
১৯ অক্টোবর
২০২৩ বৃহস্পতিবারর্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন
তথ্যের ভিত্তিতে বিকেল আনুমানিক
৫:০০ টার দিকে রাজবাড়ী
সদরের সজ্জনকান্দা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চাঞ্চল্যকর চা দোকানদার সেকান্দার
শেখ হত্যা মামলায় আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত মোঃ মফিজুর রহমান ওরফে মাহফুজ (৫৭) কে গ্রেফতার
করে। গ্রেফতারকৃত আসামী গোপালগঞ্জ
সদরের কাঠি গ্রামের মৃত মোঃ হাবিবুর রহমান ওরফে হালিম সেক এর পুত্র।
র্যাব জানায়,
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর
পর থেকে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার নাম ও পরিচয় গোপন
করে জীবন ষাপন করছিলো
ছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Tag:
No comments: