প্রধান সংবাদ

Theme images by kelvinjay. Powered by Blogger.

পুলিশের বাড়িতে ডাকাতি, ডাকাত আতঙ্ক উপজেলা জুরে

পুলিশের বাড়িতে ডাকাতি, ডাকাত আতঙ্ক উপজেলা জুরে, উদাসীন পুলিশ ভাঙ্গা প্রতিনিধি ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সম্প্রতি ফাঁকাবাড়িতে কেয়ারটেকারকে নৃশংসভাবে ...

প্রতিদিনের জীবন

প্রতিদিনের জীবন
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে করণীয়

ইসলামী জীবন

পুলিশের বাড়িতে ডাকাতি, ডাকাত আতঙ্ক উপজেলা জুরে

পুলিশের বাড়িতে ডাকাতি, ডাকাত আতঙ্ক উপজেলা জুরে, উদাসীন পুলিশ

ভাঙ্গা প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সম্প্রতি ফাঁকাবাড়িতে কেয়ারটেকারকে নৃশংসভাবে হত্যার রেশ না কাটতেই পুলিশ সদস্যের বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ফ্লাটে ঘুমিয়ে থাকা বৃদ্ধা মা ও ৪ বাচ্চাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। পরে সবাইকে রশি দিয়ে বেধে একই সঙ্গে তাঁর আপন দুই প্রবাসী ভাইয়ের ঘরেও তান্ডব চালায় ডাকাতদল। বৃহষ্পতিবার রাত ৩টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী ডাকাতদল তান্ডপ চালায় আসাদুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে। আসাদুল গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গার মানিকদহ ইউনিয়নের ফাঁজিলপুর গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

নাম গোঁপন রাখার শর্তে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতী পাশের গ্রাম আলেখারকান্দায় ফাঁকা বাড়িতে এক বৃদ্ধ কেয়ারটেকারকে নৃশংসভাবে হত্যার রেশ না কাটতেই পুনারায় পুরো উপজেলায় চুরি-ডাকাতির ঘটনা বেপরোয়ভাবে বাড়ছে। এদিন পুলিশের বাড়িতে ডাকাতির আগে ওই রাতেই আশপাশের কয়েকজনের বাড়িতে গ্রীল কেটে বসতঘরে ঢুকার চেষ্টা চালায় ডাাকাত দলেরা। কিন্তু, পারে নি। এতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম বিপর্যয়ের শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। রাত নামলেই ডাকাতদের ভয় ও আতঙ্কে কাটছে তাদের। 

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রাত তখন ৩ টা বেজে ২০ মিনিট। হটাৎ বাড়ির বাহিরে অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন মুখোশধারীরা বাড়িতে ঢুকার চেষ্টা করছেন। এসময় প্রথমেই একজন দেয়াল বেয়ে উঠে সিসিটিভির বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে ফেলছেন। তারপর ওই ভিডিও ক্যামেরাটি অকেজো হয়ে গেলো। এরপর আরেকটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে- বাড়ির প্রধান লোহার গেট দিয়ে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করছেন ৩ জন মুখোশধারী। কিছুক্ষন পর ফ্ল্যাটের দরজার কাছে লাল গেঞ্জি ও লোহার পাইপ হাতে নিয়ে দরজার সামনে থাকা সিসি ক্যামেরাটি সজরে আঘাত করলো। এরপর সেই ক্যামেরাও অকেজো করে মুখোশধারীরা। এরপর ৩ টা ৩১ মিনিটের পর থেকে ঘরে প্রবেশ করেই ডাকাতির তান্ডব চালায় ডাকাতদলেরা। তবে, ডাকাত দলেরা বাড়িতে প্রবেশ করার আগে সিসিটিভির ফুঁটেজ নষ্ট করলেও কয়েকটি ফুঁটেজ সংরক্ষন করেছে পুলিশ। তার কয়েকটি ফুঁটেজ আজ বৃহষ্পতিবার সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলা জুরে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। 



সায়লা ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বাড়ির পেছন সাইডের গ্রীলের তালা ও ফ্ল্যাটের দরজার লক ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে ৫-৬ জন ডাকাত। এর মধ্যে একজনের মুখ খোলা ছিলো, বাকিরা মুখোশ পরিহিত ছিলো। তারা প্রথমেই সায়লার শাশুড়ির ঘরে ঢুকে। এরপর ফ্ল্যাটে থাকা অন্যান্য শিশু-কিশোরদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। প্রায় দুই ঘন্টা যাবত সবাইকে রশি দিয়ে বেধে রাখা হয়। পরে রুমে থাকা আলমারি ও আসবাবপত্র ভাংচুরসহ লুটপাটের তান্ডব চালায় তারা। এসময় বাচ্চাদের অস্ত্রের মুখে ভয়-ভিতি প্রদর্শণ করা হয়। এক পর্যায়ে, ঘরের আলমারিতে রাখা সায়লা ও তাঁর ভাশুরের নগত সোয়া ২ লাখ টাকা ও প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণ লুট করে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। 

আসাদুলের স্ত্রী সায়লা ইসলাম জানান, গত রাতে ডাকাতির ঘটনার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। হটাৎ এমন কোন ঘটনা তারা মানতে পারছেন না। বাচ্চাদের ভয় ও আতঙ্ক এখনো কাটেনি। আজ সারাদিন ছেলে-মেয়েগুলো অস্বাভাবিক আচরণ করছে। 

ভাঙ্গা থানার ওসি মোকছেদুর রহমান জানান, এক পুলিশ সদস্য ও তাঁর আপন দুই ভাই ইরাক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সরজেমিন গিয়ে কয়েকটি সিসিটিভির ফুটেজ সহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। পুলিশের তদন্তকার্য অব্যাহত রয়েছে। 

শত্রুতা করে জলাশয়ে বিষ দেয়ার অভিযোগ, ৫ দিন ধরে মরছে মাছ

শত্রুতা করে জলাশয়ে বিষ দেয়ার অভিযোগ, দিন ধরে মরছে মাছ

ডেস্ক রিপোর্ট

ফরিদপুর জেলা সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে মোহনের কোল নামে পরিচিত একটি জলাশয়ে বিষ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেয়া বিষে গত পাচ দিন যাবৎ মরে ভেসে উঠছে নানা প্রজাতির মাছ। এতে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলেরা।

জলাশয়টি ওই ইউনিয়নের মোজাফফর মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামে প্রায় একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত। এটি পদ্মা নদীর নিকটবর্তী হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এই কোলটিতে দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ এসে থাকে। যা ওই গ্রামের একাধিক বাসিন্দার মালিকানা সম্পত্তি। এরমধ্যে সাড়ে তিন একর প্রতিবছর লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক ভাড়া নিয়েছেন ফরিদপুর পৌরসভার ভাটিলক্ষীপুর এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণু চন্দ্র মালো (৫২) সহ তিন ব্যক্তি। অন্য দুজনের মধ্যে রয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দা কামরুল হাসান করিম জামাল মীর।

১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে রয়েছে কোলটিতে। তা জেলেরা নেট জাল দিয়ে ধরে একটি জায়গায় জড়ো করে রাখছেন। সেখান থেকে দুর্গন্ধও ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে।

জেলে বিষ্ণু চন্দ্র মালো অভিযোগ করে বলেন, প্রায় / মাস আগে কোলটি ভাড়া নিয়ে মাছ মেরে বিক্রি করে আসছি। কিন্তু পূর্বের ভাড়াটিয়া স্থানীয় বাদল শেখ (৪০) কোলটি ভাড়া নিতে না পারায় আমার সাথে কয়েকবার বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছে। সে বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে, শহর থেকে এসে মাছ কিভাবে মেরে নেই সেটা দেখে নেব। এরমধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে, বিষ না দিলে এভাবে মাছ মরতে পারে না। আমার ধারণা, বাদলই আমার অংশে বিষ দিয়েছে। পূর্বেও বিষ দিয়েছিল এখানে।

ঘটনায় এখন পর্যন্ত তাঁর প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। এছাড়া ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান তিনি।

মাসুদ হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এখানে দীর্ঘদিন যাবৎ বিষ্ণু দাদা কাজ করে আসছেন। বছর উনার অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। হঠাৎ করে গত কয়েকদিন যাবত শুনতে পাই এখানে মাছ মরে ভেসে উঠতেছে। এখানে এসেও যার সত্যতা পাই, এখনও মাছ মরে ভেসে উঠতেছে। যে বা যারাই এখানে বিষ দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

তবে বিষ দেয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেন স্থানীয় বাদল শেখ। তিনি বলেন, ওই কোলে আমারও একটি অংশ রয়েছে। বিষ দিলেতো আমার মাছও মরবে। আমিও খুজতেছি কারা বিষ দিয়েছে। তবে তিনি পূর্বের বিষ দেয়ার ঘটনাটি স্বীকার করেন।

”আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে” মন্তব্য করায় ইউএনওকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

”আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে” মন্তব্য করায় ইউএনওকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

”আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে” এমন মন্তব্যের অভিযোগে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুনকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব . মো. মোখলেস উর রহমান জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।

এর আগে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান সজল ইউএনও বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

জানা গেছে, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান সজল ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি জেলার সদরপুরে ছাত্র আন্দোলনে মৃতদের স্মরণসভায় দিল্লি না ঢাকার প্রশ্নে আমি বক্তব্য দেই। বক্তব্যে দিল্লির কোনো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না বলে মন্তব্য করি। এ সময় স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও আল মামুন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে কৌশলে বোঝানোর চেষ্টা করেন, আওয়ামী লীগ উইল বি কাম ব্যাক, টুডে অর টুমোরো (আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে, আজ অথবা আগামীকাল)

মতবিনিময় সভায় ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান সজলের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনও আল মামুনকে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যাকে নির্দেশ দেন এবং পরবর্তীতে বরখাস্ত করা হবে বলে জানান।

জানতে চাইলে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। আমি এমন কোনো কথা বলিনি। ওনাদের সঙ্গে কথা বলার সময় ঘটনাস্থলে বিএনপি-জামায়াতের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।